ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে মা-বাবা সহ আহত ৪

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::  লামায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার লামা হাসপাতালে ভর্তি করে। রবিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ব্রিকফিল্ড নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হল, গজালিয়া ১নং ওয়ার্ডের খিজ্জানুনা গ্রামে আব্দুস সালামের ছেলে সৈকত মিয়া (২০), আব্দুস সালামের স্ত্রী আমেনা খাতুন (৪৮), আব্দুস সালাম (৫৫), পিতা- মৃত কালা মিয়া ও অছিউর রহমানের ছেলে রুহুল আমিন (২৫)।

আহত সৈকত মিয়া বলেন, আমরা ব্রিকফিল্ডের পাশে ছোট মাঠে ফুটবল খেলছিলাম। খেলাম মাঠে শিলের ঝিরি এলাকার মো. ইসলামের ছেলে মনির আহমদের (৩০) সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এসময় মনির আহমদ তার ভাই মোজাফ্ফর আহমদ (২৫), মো. আইয়ুব (১৮), তার বোন জামাই আব্দুল আজিজ (৩১) ও বাবা মো. ইসলাম (৪৭) মিলে আমাকে প্রচন্ড মেরে রক্তাক্ত করে মাঠে ফেলে রাখে। খবরপেয়ে আমার বাবা-মা ও বন্ধু ছুঁটে এলে তাদেরকেও প্রচুর মারধর করে ও দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে রাত ৭টার দিকে লামা হাসপাতালে ভর্তি করে।

আহত আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলে বাঁচাতে গেলে তারা আমাদেরও প্রচন্ড মারধর করে। আমরা এই ঘটনায় বিচার চাই। অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবু মিয়া বলেন, আসামীরা সবাই উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির লোক। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এতবড় ঘটনার সৃষ্টি করা ভাল হয়নি।

লামা হাসপাতালে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার সহকারী মেডিকেল অফিসার রায়হান জান্নাত বিলকিছ সুলতানা বলেন, আমেনা, আব্দুস সালাম ও সৈকত তিন জনের মাথায় ও পিঠে দায়ের কুপের চিহ্ন রয়েছে। প্রচুর রক্তখনন হয়েছে। তিনজনকে ভর্তি দেয়া হয়েছে এবং আহত রুহুল আমিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে খবর পাওয়া মাত্র লামা থানা পুলিশের একটি টিম লামা হাসপাতালে আহতদের দেখতে যায়। থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: